All News Here

Connect The New World

Sunday, November 22, 2015

এন্টার্কটিকায় বরফ জমছে: নাসা



এন্টার্কটিকায় যে পরিমাণ বরফ গলছে, তার চেয়ে সেখানে বরফ জমছে বেশি।যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র নতুন এক গবেষণার ফলে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

দেখা গেছে, এন্টার্কটিকায় বরফের স্তর পুরু হচ্ছে। আর এ কারণে বিশ্ব উষ্ণায়নে গলে যাওয়া বরফের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার মত যথেষ্ট বরফ সেখানে জমা থাকছে।

মেরু অঞ্চলে অনবরত বরফ গলে যাওয়া কিংবা দ্রুতহারে হিমবাহ গলে যাওয়া বর্তমানে বিশ্ব উষ্ণায়নেরই ক্ষতিকর প্রভাবের স্পষ্ট নজির। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এন্টার্কটিকায় বেশি বরফ জমার বিষয়টি এ বাস্তবতার বিপরীত চিত্র নয়। তবে এ থেকে বোঝা যায়, আগামী কয়েক বছরে নতুন বরফ জমা হয়ে অন্তত এ ক্ষতি পুষিয়ে যেতে পারে।

এন্টার্কটিকার বরফের স্যাটেলাইট উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান। গবেষণায় দেখা যায়, কয়েক দশক ধরে সেখানে বরফ জমেছে। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরে এন্টার্কটিকায় মোট বরফ জমেছে ৮ হাজার ২শ’কোটি টন।

আর এরও আগে ১৯৯২ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরে সেখানে মোট বরফ জমেছে ১১ হাজার ২শ’ কোটি টন।

নাসার নতুন এ গবেষণার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ইন্টারগভমেন্টাল প্যানেলসহ (আইপিসিসি) অন্যান্য গবেষণার বৈপরীত্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যে গবেষণাগুলোতে বলা হচ্ছে, এন্টার্কটিকা সামগ্রিকভাবেই বরফ খোয়াচ্ছে।

তবে নাসা এর ব্যাখ্যায় বলেছে, তারা এন্টার্কটিকার উপদ্বীপ এলাকা এবং পশ্চিম এন্টার্কটিকার পাইন দ্বীপ এলাকায় বরফ গলে যাওয়া সংক্রান্ত গবেষণাগুলোর সঙ্গে একমত। কিন্তু নতুন করে করা গবেষণায় তারা মূলত পূর্ব এন্টার্কটিকা এবং পশ্চিম এন্টার্কটীকার অভ্যন্তরীণ এলাকাগুলোর কথাই বলছে।

“গবেষণায় এই এলাকাগুলোতে অনেক বেশি বরফ জমতে দেখা গেছে, যা অন্যান্য এলাকায় গলে যাওয়া বরফের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে গেছে”, বলেছেন নাসার হিমবাহ বিশেষজ্ঞ জে জাওয়ালি।


তবে বরফ জমে এন্টার্কটিকা তার পুরনো রূপে ফিরে আসতে কয়েক দশক লাগতে পারে বলে জানান তিনি।

Info: bdnews24

Monday, November 9, 2015

তিন প্রজন্মের শিল্পকলা

‘ঐতিহ্যের বুনন’, শিল্পী: কনকচাঁপা চাকমা
         (‘ঐতিহ্যের বুনন’, শিল্পী: কনকচাঁপা চাকমা)

গ্যালারির দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ল হাতে বোনা কাপড়ের বিভিন্ন রঙের সুতা, চরকা; একটু দূরের দেয়ালে বড়-ছোট বিভিন্ন আকারের পেইন্টিং। প্রদর্শনটি একটু ব্যতিক্রম—শুধু দেয়ালে ঝোলানো ছবি নিয়েই এ প্রদর্শনী নয়, এখানে আছে তিন প্রজন্মের শিল্পীর তিন ধরনের কাজ। শরতমালা চাকমা, কনকচাঁপা চাকমা ও শিরোপা পূর্ণা—তিনজন হলেন প্রদর্শনীর শিল্পী। তাঁদের সম্পর্কটি আবার পারিবারিক বন্ধনে আবদ্ধ।
রাঙামাটি জেলার শুভলং বাজারের খুব কাছেই মাচ্ছরি গ্রাম। এখানে ১৯৩২ সালে জন্মেছেন শরতমালা চাকমা। ছোটবেলা থেকেই তিনি দেখে আসছেন তাঁদের বাড়িতে বোনা হয় তাঁতের কাপড়। নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যেও থেমে থাকেনি এই কাপড় বোনার কাজ। একসময় বিজয় চন্দ্র চাকমার সঙ্গে বিয়ে হয় শরতমালার। শরতমালা ও বিজয় চন্দ্রের তৃতীয় সন্তান শিল্পী কনকচাঁপা চাকমা।
পাঠক, আমরা হয়তো এখন বলতে পারি, শরতমালার পরিবারে সুতা আর রঙের আনাগোনায় বেড়ে উঠেছেন কনকচাঁপা চাকমা। আর রং-রেখার প্রতি কনকচাঁপার যে টান, এটাও কি সেই সূত্র ধরে?
শরতমালা চাকমার শিল্পকলাশিরোপা পূর্ণা—কনকচাঁপা চাকমার মেয়ে। শৈশব থেকে বেড়ে উঠেছেন মা-বাবার ছবি আঁকা দেখতে দেখতে। একসময় শুরু করেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ। এ তো গেল তিন প্রজন্মের শিল্পীদের পরিচয়। এবার কথা হোক তাঁদের শিল্পকলা নিয়ে

শরতমালা চাকমার শিল্পকলা
                 (শরতমালা চাকমার শিল্পকলা)

শরতমালা চাকমার শিল্পকলা প্রদর্শনীর শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে শরতমালা ও শিরোপা পূর্ণার কাজ আমরা দেখছি একদম নতুনভাবে। ১৪টি ফ্রেমে সুতায় বোনা শেষ হয়নি, এমন অবস্থা রেখে প্রদর্শনীতে হাজির হয়েছে শরতমালার কাজগুলো। কাজগুলোর বিশেষত্ব হলো সুতার রঙে বৈচিত্র্য তৈরি করা। চাকমা পরিবারে বোনা কারুশিল্প আমরা সাধারণত যে রঙে তৈরি করতে দেখি, এ কাজগুলো তার চেয়ে ভিন্ন রকম। এতে দেখা যায়, উজ্জ্বল লাল রঙের সঙ্গে সোনালি ও কালো রঙের সমন্বয় করে কাপড় তৈরির কৌশল। নিজের কাজে এ রকম অন্য অনেক রঙের সমাবেশ ঘটিয়েছেন শরতমালা, যা আমরা সাধারণত দেখি না।
প্রদর্শনীর কনিষ্ঠ শিল্পী শিরোপা পূর্ণা। প্রদর্শনীতে তিনি রেখেছেন তাঁর চারটি আলোকচিত্রসহ বেশ কটি জলরং ও চারকোলের কাজ। সঙ্গে প্রদর্শন করছেন ১০ মিনিটের ভিডিও চিত্র ‘বার্ডস ইন আ কেইজ’। ভিডিও চিত্রে মানুষ ও পাখির মধ্যে প্রাধান্য পেয়েছে স্বাধীনতার চিন্তা। মানুষের মনে মুক্তির যে আকাঙ্ক্ষা থাকে, সেটি ভিডিও চিত্রে উপস্থিত ছোট্ট এক গৃহশ্রমিক মেয়ের মধ্যেও আছে। দৈনন্দিন নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠে মেয়েটি, পার করে সময়; তবে তাঁর চোখে মুক্তির আশা। শিরোপা পূর্ণা শিল্পের সব শাখায় (চলচ্চিত্র, চিত্রকলা, আলোকচিত্র) সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন। তাঁর কাজে ফুটে উঠেছে মানবিক বোধের উপস্থাপন।
কনকচাঁপা চাকমা এ প্রদর্শনীর ক্যানভাসে ৩৬টি কাজের বাইরে কাগজের ওপর কালো রেখার ড্রয়িং রেখেছেন সাতটি। এবারের প্রদর্শনীতে মায়ের হাতে বোনা তাঁতের পরিবেশকে ছবির বিষয় করেছেন তিনি। তিনটি বড়মাপের ক্যানভাসের একটিতে দেখিয়েছেন কাপড় বুনন মুহূর্তের ব্যস্ততাকে। ছবিটির শিরোনাম ‘স্পিনিং লাইফ’—বাংলায় ‘জীবন বোনা’। এ ছবিতে দেখা যায়, চরকায় সুতা ভাঁজের কাজে ব্যস্ত চাকমা নারীরা। ছবির জমিনের লাল রঙের আভা এসে আলোকিত করছে নারীমুখ। অন্যদিকে, ছোট ক্যানভাসগুলোতে পাহাড়ি নারীর অবয়ব, কোনো ক্যানভাসে শুধু পাহাড়ি নারীর পোশাক সাজসজ্জার বিশেষ উপস্থাপন। রঙের প্রলেপ, বুনটের উপস্থাপন, রেখার গতিতে সিদ্ধহস্ত কনকচাঁপা। এবারের প্রদর্শনীতে তাঁর কাজগুলো বিষয় ও উপস্থাপনার দিক থেকে ব্যতিক্রমী—বিশেষত মা ও মেয়ের শিল্পকর্মের বিষয় এক হয়ে বিশেষভাবে অর্থপূর্ণ হয়েছে।

অ্যাথেনা গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে ১৭ অক্টোবর শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী শেষ হবে ৭ নভেম্বর।
info:http://www.prothom-alo.com/

Wednesday, November 4, 2015

বখশী হামিদ মসজিদ, চট্টগ্রাম

বখশী হামিদ মসজিদ এর চিত্র ফলাফল

বখশী হামিদ মসজিদ : চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে একটি দীঘির পাড়ে নির্মিত প্রাচীন একটি মসজিদ। এই মসজিদটির নির্মাণ কৌশলের সাথে ঢাকার শায়েস্তা খান (আনুঃ ১৬৬৪ খৃঃ) মসজিদ এবং নারায়নগঞ্জের বিবি মরিয়ম মসজিদের (আনুঃ ১৬৮০ খৃঃ) মিল লক্ষ্য করা যায়। মিহরাবের উপর স্থাপিত আরবী শিলালিপির বক্তব্য মতে, এটি সুলাইমান কররানি কর্তৃক প্রতিষ্ঠা করার কথা থাকলেও লোকমুখে বখশী হামিদের নির্মিত মসজিদ বলে পরিচিত।
বর্তমান এ মসজিদ এর পাশে একটী হেফজখানা রয়েছে।মসজিদ এবং হেফজখানার পরিচালনাই আছেন মাওলানা মুজিবুর রহমান।

ঐতিহাসিক যোগীর ভবনের মন্দির ,বগুড়া



কাহালু উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিঃমিঃ উত্তরে পাইকড় ইউনিয়ন পরিষদের পাশে ঐতিহাসিক যোগীর ভবন অবস্থিত। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যোগী ও সাধু-সন্নাসীদের আনা-গোনা ছিল বলে এ স্থানটির নামকরণ ‘‘যোগীর ভবন’’ বলে স্থানীয়ভাবে জানা যায়। এখানে রয়েছে একটি আশ্রম, ০৪ টি মন্দির, কানচ কূপ, একটি ইঁদারা, ধর্মটঙ্গী এবং অগ্নিকুন্ড ঘর। যোগীর ভবনের আশ্রম ও মন্দির নির্মানের তেমন কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও এখানে বিভিন্ন দেয়ালের গায়ে ৮৮৪, ১১১৩, ১১১৯ খৃষ্টাব্দ লেখা রয়েছে যা থেকে অনুমান করা যায় যে, এটি ৮৮৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। ১১১৩, ১১১৯ খৃষ্টাব্দে এটির সম্ভবতঃ সংস্কার করা হয়েছিল। জনশ্রুতিতে আরোও জানা যায় বাংলার কিংবদন্তী নায়িকা বেহুলার মৃত স্বামী লক্ষ্ণীন্দর এখানকার কানচ কূপের পানির মাধ্যমে জীবন ফিরে পেয়ে ছিলেন। যোগীর ভবন মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পূজা-পার্বণ করে থাকেন। সংস্কারের অভাবে এখন এটি ধবংসের পথে।

Info:http://www.goldenbangladesh.com

মহাস্থানগড়,বগুড়া

মহাস্থানগড়:  বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। পূর্বে এর নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এর অবস্থান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কি.মি উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে মহাস্থান গড় অবস্থিত।
mohastangor এর চিত্র ফলাফল
ইতিহাস
সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেন (১০৮২-১১২৫) যখন গৌড়ের রাজা ছিলেন তখন এই গড় অরক্ষিত ছিল । মহাস্থানের রাজা ছিলেন নল যার বিরোধ লেগে থাকত তার ভাই নীল এর সাথে। এসময় ভারতের দাক্ষিণাত্যের শ্রীক্ষেত্র নামক স্থান থেকে এক অভিশপ্ত ব্রাহ্মণ এখানে অসেন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে। কারণ তিনি পরশু বা কুঠার দ্বারা মাতৃহত্যার দায়ে অভিশপ্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনিই এই দুই ভাইয়ের বিরোধের অবসান ঘটান এবং রাজা হন। এই ব্রাহ্মণের নাম ছিল রাম। ইতিহাসে তিনি পরশুরাম নামে পরিচিত। কথিত আছে পরশুরামের সাথে ফকির বেশী আধ্যাত্মিক শক্তিধারী দরবেশ হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (র:) এর যুদ্ধ হয়। (১২০৫-১২২০) যুদ্ধে পরশুরাম পরাজিত ও নিহত হন।
mohastangor এর চিত্র ফলাফল

দর্শনীয় স্থান
মহাস্থান গড় বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রাচীন পর্যটন কেন্দ্র। এখানে মাজার জিয়ারত করতে এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান হতে বহু লোক সমাগম ঘটে। এখানকার দানবাক্সে সংরক্ষিত অর্থের পরিমাণ বার্ষিক প্রায় ৭০ হাজার টাকা যা মাজার মসজিদের কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত হয়।

মাজার শরীফ
মহাস্থান বাস স্ট্যান্ড থেকে কিছুটা পশ্চিমে হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (র:) এর মাজার শরীফ অবস্থিত। কথিত আছে মাছের পিঠে আরোহন করে তিনি বরেন্দ্র ভূমিতে আসেন। তাই তাকে মাহী সওয়ার বলা হয়। কথিত আছে হযরত মীর বোরহান নামক একজন মুসলমান এখানে বাস করতেন। পুত্র মানত করে গরু কোরবানী দেয়ার অপরাধে রাজা পরশুরাম তার বলির আদেশ দেন এবং তাকে সাহায্য করতেই মাহী সওয়ারেরর আগমন ঘটে।

Info: https://bn.wikipedia.org

রাণীনগরে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মাটির বাড়ি

রাণীনগরে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মাটির বাড়ি

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার চির ঐতিহ্যের নিদর্শন সবুজ শ্যামল ছায়া-ঘেরা শান্তির নীড় মাটির বাড়ি। যা এক সময় ছিল গ্রামের মানুষের কাছে মাটির ঘর গরীবের এসি বাড়ি নামে পরিচিত। কিন্তু কালের আর্বতে আজ হারিয়ে যাচ্ছে এই ঐতিহ্যবাহী মাটির বাড়ি।

বেশিদিনের কথা নয়, বাংলার প্রতিটি গ্রামে নজরে পড়তো এই মাটির বাড়ি। ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি প্রচুর গরম ও শীতে বসবাস উপযোগী মাটির তৈরি এসব বাড়ি এখন আর তেমন একটা নজরে পড়ে না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় আর সময়ের পরিবর্তনে গ্রামবাংলা থেকে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি বাড়ি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এই বাড়ি শীত ও গরম মৌসুমে আরামদায়ক বলে গ্রামের গরীব ও দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি অনেক বিত্তবানও এই মাটির দ্বিতল বাড়ি তৈরি করতেন।

জানা যায়, অতি প্রাচীনকাল থেকেই মাটির বাড়ির প্রচলন ছিল। গ্রামের মানুষের কাছে এই বাড়ি ঐতিহ্যের প্রতীক ছিল। গ্রামের বিত্তবানরা এক সময় অনেক অর্থ ব্যয় করে মাটির দ্বিতল মজবুত বাড়ি তৈরি করতেন যা এখনও কিছু কিছু গ্রামে চোখে পড়ে। এঁটেল বা আঠালো মাটি কাদায় পরিণত করে ২-৩ ফুট চওড়া করে দেয়াল বা ব্যাট তৈরি করা হয়। ১০-১৫ ফুট উঁচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড় বা টিনের ছাউনি দেয়া হয়। মাটির বাড়ি অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হতো। সব ঘর বড় মাপের হয় না। গৃহিণীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আল্পনা এঁকে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্ষা মৌসুমে মাটির ঘরের ক্ষতি হয় বলে বর্তমান সময়ে দীর্ঘস্থায়ীত্বের কারণে গ্রামের মানুষরা ইট-সিমেন্টের বাড়ি নির্মাণে আগ্রহী হচ্ছেন।

ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির বাড়ি শত বছরেরও বেশি স্থায়ী হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে কালের বির্বতনে ইট-বালির দালান কোঠা আর বড় বড় অট্টালিকার কাছে হার মানছে মাটির বাড়ি।

উপজেলার রাতোয়াল রাখালগাছী গ্রামের মমতাজ, সাহাবুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, জুলহাজ উদ্দিনসহ আরো অনেকে জানান, মাটির তৈরি এই বাড়ি তারা পেয়েছেন পৈত্রিকভাবে। তাদের পূর্ব পুরুষরাও এই মাটির তৈরি বাড়িতেই জীবন কাটিয়ে গেছেন। তাই এখনও তারা এই বাড়িগুলো ভাঙেননি।

মাটির বাড়ি বসবাসের জন্য আরামদায়ক হলেও যুগের পরিবর্তনে আধুনিকতার সময় অধিকাংশ মানুষ মাটির বাড়ি ভেঙে অধিক নিরাপত্তা ও স্বল্প জায়গায় দীর্ঘস্থায়ীভাবে অনেক লোকের নিবাস কল্পে গ্রামের মানুষরা ইটের বাড়ি-ঘর তৈরি করছেন বলে অনেকের ধারণা।

Info:http://www.24livenewspaper.com/