Connect The New World

Saturday, April 11, 2015

চোখের সামনেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে ৪০০ বছর ইতিহাসের রাজসাক্ষী সাহেবানি মসজিদ

http://www.somoyerkonthosor.com/wp-content/uploads/2015/04/scfdvgbhn-300x225.jpg
একটু একটু করে চোখের সামনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ৪০০ বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য বহনকারী সাহেবানি মসজিদ,একনজর দেখতে প্রতিনিয়ত ভীড করছে হাজার হাজার মানুষ।
পুরনো সৃতি মনে করে চোখের জল ফেলছেন অনেকে। মনোরম দৃশ্য ঘেরা প্রবিত্র এই মসজিদ দেখলে তৃপ্ত এক অনুভূতিতে বুক ভরে যায় সবার।
নদী গর্ভ থেকে মাত্র ২০ গজ দূরে দাড়িয়ে আছে সন্দ্বীপের স্বাধীন রাজা দিলালের মেয়ের স্মৃতি বিজড়িত প্রাচীন এই মসজিদ।আজ সে মসজিদটি চির দিনের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে, হয়তো বা বছর ঘুরতেই আর দেখা যাবেনা দীঘির পানিতে প্রতিবিম্ব ফেলে দাড়িয়ে থাকা ইতিহাসের রাজসাক্ষী
আমাদের প্রতিবেদনে সেই ৪০০ বছরের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরলাম, ঐতিহ্যবাহী মরিয়ম বিবি সাহেবানি মসজিদ বর্তমান কালাপানিয়া গ্রামের কালাপানিয়া দীঘির পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত।
নির্মিত হয়  ১৬২০ খ্রিষ্টাব্দ– ১৬৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতর। বর্ণনা কালাপানিয়া দীঘির দক্ষিণ পশ্চিম পাশে ৩ টি গম্বুজ,৮ টি মিনার ,৩ টি দরজা ও ২ টি জানালা নিয়ে মসজিদ টি দাড়িয়ে আছে।
৮ টি মিনারের মধ্যে ৪ টি মসজিদের চারপাশে চার পিলারের অগ্রভাগে, বাকি দুইটি মিনার প্রধান ফটকের দুই পাশের পিলারের অগ্রভাগে। ৩  টি গম্বুজের মধ্যে ১ টি বড় ও তাঁর দুই পাশে দুইটি ছোট গম্বুজ।
মসজিদের বাইরের পাশ কদম সমান কিন্তু ভেতরে মিম্বর ও জানালার স্থানগুলি মনে হয় যেন খোদাই করে বানানো। দেওয়ালের পুরুত্ত প্রায় ২ হাত।  গম্বুজেগুলির ভিতরের অংশ ফাঁপা, ঠিক যেন  উপুড় করে রাখা নারিকেলের অর্ধেক অংশের মত।
মসজিদের দুই পাশে এবং সামনে জমিদার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান।  মসজিদের সামনে দীঘির পাড়, পেছনে আরেকটি ছোট পুকুর, যেটির পশ্চিম পাড় নদী গর্ভে বিলীন।
১৩৭৫ বঙ্গাব্দে মসজিদটি সংস্কার করা হয়। ফলে মসজিদের দেওয়ালে অংকিত চাঁদ ও তারার প্রতিকৃতি মুছে গেছে। ইতিহাসঃ সন্দ্বীপের স্বাধীন রাজা দিলালের (দেলওয়ার খাঁ) দুই মেয়ে ছিল।
মুছা বিবি ও মরিয়ম বিবি। তাঁহার একাধিক পুত্র ছিল। তবে শুধু শরীফ খাঁ ছাড়া অন্য কারো নাম জানা যায়নি। সম্ভবত শরীফ খাঁ পিতার সঙ্গে জিনজিরায় কারারুদ্ধ অবস্থায় মারা যান।
WERFGTH
নবাব শায়েস্তা খাঁ দিলাল রাজার বয়ঃপ্রাপ্ত ছেলেদের ভরন পোষণের জন্য ঢাকার অদূরে ধলেশ্বরী নদীর তীরে অবস্থিত পাথরঘাটা মিঠাপুকুর নামক স্থানে ১০/১২ খানা গ্রাম জায়গীর স্বরূপ প্রদান করেন।
প্রায় ২০০ বছর পূর্বে গ্রামগুলো নদী ভাঙনে হারিয়ে যায়। তখন হতে শরীফ খাঁর বংশধরেরা সাভারের গান্ডা গ্রামে বসবাস করে আসছে।  উল্লেখ্য,রাজা দিলাল কে সন্দ্বীপ হতে বন্দী করে ঢাকায় আনার সময় তার কন্যা দ্বয়ের বংশধরেরা সন্দ্বীপেই থেকে যান।see more

No comments:

Post a Comment